বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬
------স্মৃতি------ লেখা:- Rahul Paira
------স্মৃতি------
.
সেদিনের সেই সময়টা এখনো স্মৃতিতে নক করে। স্মৃতি কি এতোই শক্তিশালী যে চাইলেও ডিলিট করা যায় না। মাঝে মাঝে ফিরে এসে মনের আভ্যন্তরীণ কলকব্জা গুলোকে তছনছ করে দিয়ে চলে যায়।
ফেলে যায় কিছু কষ্টের আর সুখের অনুভুতি। যে অনুভুতি গুলো শুধুই চোখের জল ঝরাতে সাহায্য করে। নোনতা জল।
.
স্বামীর বুকে মাথা রেখে সুখের বিন্দু বিন্দু জলকনার তৃপ্তি সারা মুখে ছড়িয়ে আজো কি আমার নামটা তোমার স্মৃতিতে ভাসে!!
নাকি ছবিটাই আবছা হয়ে গেছে!! যে ছবিতে আর কখনো রংতুলির ব্রাশ পড়বে না!
.
সেদিনের সেই কলেজ ক্যান্টিনে একসাথে বসে মুখে চিনাবাদাম চিবোতে চিবোতে তুমি যে ঘরের ছবি সাজিয়েছিলে, সেটার কি আর অস্তিত্ব আছে!!
পরিবেশের বিভাজনের পাল্লায় পড়ে তুমি আজ অনেক দূরে, কখনো কি আলেয়ার পেছনে ছুটেছো!! নাকি আলেয়াই তোমার পিছনে ছুটছে!!
.
আচ্ছা, আজো কি তোমার দুষ্টুমি গুলো আছে নাকি সংসারের বাঁধনে পড়ে নিজেকে ব্যক্তিত্বময়ী করে তুলেছো!!
আগে তো খুব দৌড়াতে, অলিম্পিকে নাম লেখালে হয়তো তুমিই প্রথম হতে। আজো কি সেইরকম দৌড়াতে পারো! নাকি নিজেকে ভারী করে নিয়েছো!
.
মনে পড়ে একদিন কফি ক্যান্টিনে তুমি ইচ্ছা করেই আমার উপর গরম কফি ঢেলে দিয়েছিলে, পায়ের চামড়া পুড়ে গিয়ে ফোস্কা পড়ে গিয়েছিলো, আর্তনাদে আমি চিৎকার করে উঠেছিলাম, এই অবস্থা দেখে তোমার সেকি কান্না, তারপর মেডিসিন স্টোর থেকে তখুনি বার্নল কিনে এনে পুরোটা আমার পায়ে ঢেলে দিয়েছিলে। আচ্ছা এখনো কি ওই ছেলেমানুষি গুলো তোমার মধ্যে আছে, নাকি সন্তানের বদমাশি গুলো উপভোগ করো!!
.
একদিন তুমি আমায় ইঞ্জেকশন দিয়েছিলে মনে পড়ে। এই সেদিনের কথা। এখনো ভুলিনি। তুমি এসে আমায় বলেছিলে আমার নাকি জ্বর হয়েছে, ইঞ্জেকশন দিতে হবে, তারপর কোথা থেকে এক পরিত্যক্ত খালি ইঞ্জেকশন জোগাড় করে আমার বাম হাতে শুধু ফুঁড়ে গিয়েছিলে, একবার দুবার তিনবার করে প্রায় সাত আটবার ফুঁড়েছিলে। তারপর পুরো বামহাত জুড়ে রক্তের বিন্দু দেখে তুমি নিজেই অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলে। আচ্ছা এখনো কি রক্ত দেখে সেন্সলেস হয়ে যাও! নাকি আর কিছুই মনের গহীনে দাগ কাটে না!!
.
এই তো সেদিনের ঘটনাও এখনো আমার চোখে স্পষ্ট ভাসছে। তুমি এসে বলেছিলে তোমায় নাকি ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে। ফুচকা চটপটি তেলেভাজা খাওয়াতে হবে। তারপর ফুচকা খেতে খেতে দোকানীর অর্ধেক ফুচকা প্রায় শেষ করে দিয়েছিলে। আচ্ছা এখনো কি ওইভাবে ফুচকা খেতে পারো! নাকি শরীরের কথা ভেবে ফুচকা খাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছো!!
.
সেই পূর্নিমা রাতটির কথা মনে পড়ে তোমার! যে রাতে গোল থালার মতো চাঁদকে দেখিয়ে তুমি বলেছিলে আমার নাকি চাঁদের পানার মতো মুখ। আচ্ছা আবার কোনো এক পূর্নিমা রাতে চাঁদপানা মুখ তোমার স্মৃতিতে ভাসে! নাকি চাঁদপানা মুখটা মলিন ধূসর হয়ে মিলিয়ে গেছে!
.
স্মৃতি বড়ো অসহায়। মস্তিষ্কের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে স্মৃতি গুলো শুধুই হৃৎপিন্ডের কুঠুরিতে হাতুড়ির ঘা মারে। আচ্ছা তোমারও সেইরকম হয়! নাকি আবছা হতে হতে তোমার হৃৎপিন্ডের কুঠুরিটাই ব্লক হয়ে গেছে! খুব জানতে ইচ্ছে করে।
নিয়তির পরিহাসে আজ তুমি বহুদূরে। মনের গহীনে আজো আছো তুমি। শুধুই তুমি....
.
লেখা:- Rahul Paira
শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬
A.S.A Milon: নিঝুম ।। ইয়াসমিন
A.S.A Milon: নিঝুম ।। ইয়াসমিন: নিঝুম ইয়াসমিন নিঝুম আজ ভীষণ...
নিঝুম ।। ইয়াসমিন
নিঝুম
ইয়াসমিন
নিঝুম আজ ভীষণ ব্যস্ততা ।অফিসে আজ অনেক কাজ ।কোম্পানি একটা নতুন পণ্য বাজারে আনবে ।পণ্যটার জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চলছে নানা রকম কাজ ।আজকে একটা কনসার্ট আছে কোম্পানির পক্ষ থেকে তার আয়োজনের জন্য রাত পর কাজ করতে হয়েছে ।
আজকে কনসার্ট তাই চাপ একটু বেশি ।কনসার্টে আসছে নামকরা সিনেমা অভিনেতা আকাশ ।ঐ দিকে অভি মানে নিঝুমের
প্রেমিক বার বার ফোন দিচ্ছে ।কিন্তু এত কাজের চাপ যে ফোন ধরার সময়টুকু নেই ।নিঝুম ভাবছে অভিকে পরে বুঝিয়ে বলা যাবে ।একটু রাগ করবে কিন্তু অভি আমাকে বোঝে ও সবটা শুনলে নিশ্চয়ই আর রেগে থাকবে না ।
কনসার্টটা ভালো ভাবে শেষ হলে বসকে বলে কয়েকটা দিন ছুটি নিতে হবে ।
চারদিকে শুধু আকাশ, আকাশ ।সত্যি আকাশ জনপ্রিয়তা অনেক পণ্যটার প্রচার ভালো হবে মনে হচ্ছে ।। কনসার্টের এক ফাঁকে আকাশ আর নিঝুমের কথা হয় ।আকাশ যেন অন্যরকম ভাবে নিঝুমের দিকে তাকিয়ে ছিল
অনুষ্ঠানের কিছু দিন পর নিঝুম অফিসের একটা প্রয়োজনে আকাশের বাড়িতে যায় ।
আকাশ - আচ্ছা আপনার নাম যেন কি ?
নিঝুম- জি ,আমি নিঝুম ।
আকাশ - জানেন সেদিন আপনাকে দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম ।
নিঝুম- সেকি কেন ?
আকাশ- আসলে আমার এক বোন ছিল ঠিক আপনার মত ।সেদিন আপনাকে দেখে তাঁর কথা মনে পড়ে গিয়েছিল ।
নিঝুম- ছিল মানে ?
আকাশ - কয়েক বছর আগে মারা যান ।
সেদিন আকাশের মুখটা দেখে নিঝুমের খুব খারাপ লাগে ।ধীরে ধীরে আকাশ আর নিঝুমের বন্ধুত্ব হয়
নিঝুম অভিকে আকাশের কথা বলে ।অভি নিঝুমকে বলে, তুমি আবার আকাশকে পেয়ে আমাকে ভুলে যাবে না তো ?
নিঝুম মজা করে বলে, ভাবতে হবে ।নিঝুম কথাটা বলে হেসে ফেলে। আকাশের মা নিঝুমকে নিজের মেয়ে মত ভালোবাসে ।আকাশ ভাবে নিঝুম আসলেই অসাধারণ ,মা নিঝুমকে পেয়ে আপুর শোকটা অনেকটা ভুলতে পারছে ।
একদিন আকাশ নিঝুমকে বলে
আকাশ- নিঝুম অভিনয় করবি ?
নিঝুম- অভিনয়......!!!! আর আমি, তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে ।
আকাশ- আমি সত্যি বলছি ,তুই পারবি ।তুই শুধু হ্যা বল বাকিটা আমি দেখছি ।
নিঝুম- অভি কে বলি ,ও যদি হ্যা বলে তাহলে করতে পারি ।
আকাশ- তোর অভি কে আমি রাজি করাবো।
অভি রাজি হয় তবে নিঝুম বলে শুধু একটা ছবিতে অভিনয় করবে ।অভিনয়ের প্রতি ওর আগ্রহ নেই শুধু আকাশের কথাতেই ও রাজি হয়েছে ।নিঝুম আকাশের সাথে অভিনয় করে ।হঠাৎ একবারে নতুন মুখ আসায় সিনে পাড়ায় আলোচনার ঝড় বইতে শুধু করে ।
খবরের কাগজে নানা ধরণের লিখালেখি হয় আকাশ আর নিঝুমের ব্যাপারে ।
সিনেমাটা সফলতা পায় কিন্তু নিঝুমের জীবনে হঠাৎ অনেক কিছু বদলে যায় ।আজকাল অভি যেন কেমন অচেনা হয়ে গেছে ।নিঝুম অভিকে হারানো ভয় পায়।অভিকে বিয়ের কথা বলে কিন্তু অমি বলে ওদের বাড়িতে ওকে মেনে নেবে না ।
কারণ ও সিনেমায় অভিনয় করেছে আর যেসব মেয়ে অভিনয় করে তাদের চরিত্র ভালো হয় না ।
অভির কথা শুনে নিঝুম চুপ করে থাকে ।নিঝুম ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে দেয় ।আকাশে কে ফোন করে বলে
নিঝুম- আকাশ জীবনে কিছুই চাই নি। তবে অনেক পেয়েছি তাই বুঝি আজকে সব হারাতে হলো রে ।
আকাশ- হঠাৎ এমন কথা বলছিস কেন ?
নিঝুম- এমনি তুই বুঝবি না । পরের দিন আকাশের বাড়িতে খবর যায় নিঝুম আর বেঁচে নেই ।
নিঝুম আত্মহত্যা করেছে এটা আকাশ কিছুতেই বিশ্বাস করছে পারছে না ,মেনে নিতে পারছে না নিঝুমের চলে যাওয়াটা ।আকাশ ভাবছে নিঝুম আর ওর বন্ধুত্ব কি এতই হালকা যে নিঝুম নিজেকে শেষ করে দিল কিন্তু একটিবার দুঃখটা ওর সাথে শেয়ার করতে পারলো না ।
নিঝুমের আত্মহত্যার বিষয়টি বেশ আলোচিত হলে ।নিঝুম মৃত্যুর আগে লিখে গেছে তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় ,তার মৃত্যুর কারণটা নিয়ে যেন বাড়াবাড়ি করা না হয়।
নিঝুমের মৃত্যু পর নিঝুমের বাড়ির কাজের লোক করিম আসে আকাশের কাছে ।
আকাশ- কি ব্যাপার তুমি এখানে ?
করিম- স্যার, আপনাকে একটা জিনিস দেওয়ার ছিল ।
আকাশ- কি ?
করিম -(একটি খাম বের করে ) আপা এটা আপনাকে দিতে বলেছিল আর বলেছিল আপনি ছাড়া যেন এটা আর কাউকে না দেই, এটা শুধু আপনার জন্য । আকাশ চিঠিটা নিল ।হঠাৎ যেন বুকের ভেতর কেমন করে উঠলো ।চিঠিটা আকাশের কাছে লেখা নিঝুমের শেষ চিঠি।
প্রিয় আকাশ,
তুই যখন এটা পড়বি তখন আমি তোর থেকে ,এই পৃথিবী থেকে অনেক দূরে চলে গেছি ।জানি না , মৃত্যুর পর মানুষ কাউকে মিস করতে পারে কি না, যদি পারে তাহলে তোকে খুব মিস করবো ।জানিস, আকাশ আমি অভিকে খুব ভালোবাসি ।
কিন্তু আজ আমার চেনা অভিকে বড় অচেনা লাগলো ।যে ছেলে আমার একটু অভিমান হলে আমার অভিমান ভাঙ্গার জন্য হাজার হাজার উপায় বের করতো ।সেই ছেলে আজ আমাকে এত কষ্ট দিল ।সে আমাকে চরিত্রহীনা ভাবছে ।আমাকে সন্দেহ করছে ।
ও ভালো করেই জানে আমি ওকে ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারি না ।অভিকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না রে, তাছাড়া এত অপমান নিয়ে বেঁচে থাকা যায় না ।তাই আমার চলে যাওয়াই ভালো ।অভির কোন ক্ষতি হতে দিস না ।আমি ওকে বড্ড ভালোবাসি রে ।
চিঠিটা পড়ে আকাশ কি করবে কিছুই বুঝতে পারে না ।
আকাশের মনের মধ্যে ঝড় শুরু হয়। নিঝুমের কথা রাখবে না অভিকে শাস্তি দিবে ।
কিছুদিন পর আকাশের সাথে দেখা করতে একটি লোক আসে ।লোকটি আর কেউ নয় অভি ।
আকাশ-এখানে কি চাই আপনার ?
অভি- আমি জানি ,তুমি আমি আমাকে ঘৃণা কর ।
আকাশ - সেটা কি স্বাভাবিক নয় ?
আকাশ লক্ষ করে অভি কেমন যেন হয়ে গেছে ।ঝড় বয়ে যাওয়া পর যেমন অবস্থা হয় ঠিক তেমন ।
অভি- আকাশ ,আমি নিঝুমকে খুব ভালোবাসি ।
আকাশ- লজ্জা করে না তোমার ? তুমি এ কথা বলছো ।
অভি- আমি চেয়েছিলাম ও সুখী হোক ।
আকাশ- তুমি ওকে ভালোবাসতে ,ওকে সুখী দেখতে চেয়েছিলে তাহলে অপমান করলে কেন ? কেউ জানুক আর না জানুক আমি জানি নিঝুমের মৃত্যু তুমি দায়ী ।
অভি - (অভি ধরা গলায় বলে )আমার ব্লাড ক্যান্সার ।নিঝুমকে অপমান করছিলাম কারণ আমি চেয়েছিলাম ও আমি ভুলে গিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করুক কিন্তু নিঝুম.......
অভি আর কিছু বলতে পারে না শুধু বাতাসে ভেসে যায় তার কান্ন শব্দ আর আকাশ ভাবে নিঝুমের মৃত্যুর জন্য কে দায়ী ভাবতে ভাবতে দুচোখ বেয়ে পড়ে পানি ।
.................................................................................................................................... ইয়াসমিন
বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬
আমাদের গন্তব্য
আমাদের গন্তব্য
Abul Basar
সিনেমা
নাটক বা গল্প - উপন্যাসের গল্পগুলোতে কিছু কমন থিম আছে। দুএকটা গল্প বাদে
প্রায় প্রতিটা গল্পেই কেউ না কেউ মারা যায়। আর তার পরে যারা বেঁচে থাকে,
তাদের সংগ্রামের কাহিনি থাকে। কীভাবে তারা পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ বা
গুরুস্থানীয় ব্যক্তির মৃত্যুর পর জীবন চালিয়ে যায় থাকে তার ফিরিস্তি!
দর্শক নায়কের বিজয়ে মুখরিত হয়।ট্রাজেডি হলে তো আবার ভিন্ন কথা। তখন
নায়ক বা নায়িকার মৃত্যুতে তোলপাড় শুরু হয়। পরিচালকের উপর রাগ হয়।
মেজাজটা বিগড়ে যায়। অন্তরটা মুচড়ে যায়। এর রেশ থেকে যায়
অনেকদিন। বাকের ভাইয়ের ফাঁসীতে কি কাণ্ডটাই না হয়েছিল! মজার ব্যাপার
হচ্ছে, এসব গল্প-সিনেমা-নাটক আমাদেরকে শুধু দৃশ্যমান পৃথিবীর জীবনটাই
দেখায়। বাবার মৃত্যুর পর একটা পরিবার কীভাবে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকে, মায়ের
মৃত্যুর পর একটা সন্তান কীভাবে ঠোকর খেয়ে খেয়ে বেড়ে ওঠে—এ ধরনের নানা
মর্মস্পর্শী কাহিনি আমাদের অন্তর কাঁদায়।
এই চিন্তা মোটেও অযৌক্তিক না। কিন্তু দৃশ্যমান জগতের প্রতি অতিখেয়ালে যে-জিনিসটা আমাদের চেতনা থেকে হারিয়ে যায়: মৃত্যুর পর আমার কী হবে? আমার আত্মা কি ফেরেশতারে টেনে-হিঁচড়ে বের করবে? নাকি এক ফোঁটা পানির মতো অনায়াসে বেরহবে? আমার আত্মাটা কি কবর থেকেই জান্নাতের সুখ পাবে? নাকি সেখান থেকেই জাহান্নামের শাস্তি শুরু হয়ে যাবে? আমার জান্নাত কি নবি-রাসূলদের সাথে হবে? নাকি ফিল্মস্টার-রকস্টারদের সাথে হবে?.
পরিবার যাতে ভালো থাকে, নিরাপদ থাকে সেজন্য বাবা-মা’র কত চিন্তা। প্রাণের
প্রিয় স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের প্রতি কত ভাবনা। তাদের ভবিষ্যত জীবন
নিশ্চিত করার জন্য—আমিনা-থাকলেও তারা যেন ভালো থাকে—সেজন্য কত প্রস্তুতি,
কত কষ্ট, কত ত্যাগ। কিন্তু মৃত্যুদূত যখন আমার সামনে আসবে, আর আমার
বিদায়ের ঘণ্টা বাজবে, তখন কি আমি প্রস্তুত আমার প্রভুর সামনে হাসিমুখে
দাঁড়ানোর জন্য? আমি কি আমার স্রষ্টার দেওয়া অত্যাবশ্যকীয় আদেশগুলো মেনে
চলেছি? তিনি যেগুলো নিষিদ্ধ করেছেন সেগুলো থেকে দূরে থেকেছি?.
গল্প-সিনেমায় জীবনের প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়। কিন্তু সেটা কেবল এই জীবনের। মৃত্যুরপরের জীবনের কোনো লেশ সেখানে থাকে না। আর আমরাও প্রতিনিয়ত ওগুলোর সামনে পড়তে পড়তে মৃত্যুর পরের চিরকালীন জীবন সম্পর্কে উদাসীন হয়ে পড়ি। চিন্তার সমস্ত পরিধি জুড়ে তখন থাকে কেবল এই জীবন। কিন্তু মানি আর না-ই মানি, এই জীবন ক্ষণিকের। যে-মুহূর্তে আমি মারা যাব, সেই মুহূর্ত থেকেই আমার ফায়সালা হয়ে যাবে: হয় জান্নাত, নয় জাহান্নাম। আমার কবরটা হয় আলোর রশনিতে ভরে যাবে, নয়তো পরিণত হবে অন্ধকার কুঠুরিতে। নয়নাভিরাম জিনিসে ভর্তি থাকবে চারপাশ, নয়তো ভয়ংকর সব চেপে ধরবে চারপাশ থেকে। প্রশস্ত হবে প্রাসাদের মতো, নয়তো চেপে আসবে পাথরের মতো।
কাজেই আসুন ভেবে দেখি কোন গন্তব্যের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। কোথায় ঠাঁই পাওয়ার জন্য দুনিয়ার জীবন বিনিয়োগ করছি। আজকের পর যখন কোনো গল্প-উপন্যাস হাতে নেবেন, কোনো নাটক-সিনেমা দেখবেন, ওখানে যখন কেউ মারা যাবে, একবার থেমে চিন্তা করবেন, যে-মানুষটি মারা গেল তার কী হলো? সে কোথায় গেল? জান্নাতের বাগানে নাকি জাহান্নামের খাঁদে!!?
গল্প-সিনেমায় জীবনের প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়। কিন্তু সেটা কেবল এই জীবনের। মৃত্যুরপরের জীবনের কোনো লেশ সেখানে থাকে না। আর আমরাও প্রতিনিয়ত ওগুলোর সামনে পড়তে পড়তে মৃত্যুর পরের চিরকালীন জীবন সম্পর্কে উদাসীন হয়ে পড়ি। চিন্তার সমস্ত পরিধি জুড়ে তখন থাকে কেবল এই জীবন। কিন্তু মানি আর না-ই মানি, এই জীবন ক্ষণিকের। যে-মুহূর্তে আমি মারা যাব, সেই মুহূর্ত থেকেই আমার ফায়সালা হয়ে যাবে: হয় জান্নাত, নয় জাহান্নাম। আমার কবরটা হয় আলোর রশনিতে ভরে যাবে, নয়তো পরিণত হবে অন্ধকার কুঠুরিতে। নয়নাভিরাম জিনিসে ভর্তি থাকবে চারপাশ, নয়তো ভয়ংকর সব চেপে ধরবে চারপাশ থেকে। প্রশস্ত হবে প্রাসাদের মতো, নয়তো চেপে আসবে পাথরের মতো।
কাজেই আসুন ভেবে দেখি কোন গন্তব্যের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। কোথায় ঠাঁই পাওয়ার জন্য দুনিয়ার জীবন বিনিয়োগ করছি। আজকের পর যখন কোনো গল্প-উপন্যাস হাতে নেবেন, কোনো নাটক-সিনেমা দেখবেন, ওখানে যখন কেউ মারা যাবে, একবার থেমে চিন্তা করবেন, যে-মানুষটি মারা গেল তার কী হলো? সে কোথায় গেল? জান্নাতের বাগানে নাকি জাহান্নামের খাঁদে!!?
কি চেয়েছি কি পেলাম
দীর্ঘ নয়টা মাসের যুদ্ধে আমাদের হারানোর কোন সীমা ছিলনা । জান মাল আমাদের মা -বোন দের সম্ভ্রম আরও কত কি !!! । তাতে কি হয়েছে!!
তবুও তো একটা স্বাধীন দেশ পেয়েছি । সব কিছু হারিয়ে এটাই ছিল আমাদের পরম পাওয়া । পাকিস্তানের চরম শোষণের হাত থেকে বাঙ্গালী রক্তের বিনিময়ে মুক্তি পেল ঠিকই কিন্তু স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরে এসে অনেকের মনে প্রস্ন শোনা যায় , আমরা স্বাধীন নই কেন???
এতদিন পরে এই প্রশ্ন শুনে হতবাক না হয়ে পারি না । কেননা আমাদের লাখো শহিদের রক্ত তো আর বৃথা যেতে পারে না ......। আসলে বিষয় টা কি ??
আমার ছোট্ট মাথায় ভাবতে লাগলাম ।।
সত্যিই তো ......।। আমরা ত স্বাধীনতার সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেছি । যেখানে তনু, মুক্তাদের আমরা যথাযথ সম্মান দিতে পারিনি , যে দেশে বদ্রুলরা দিনে দুপুরে অসহায় মানুষ দের কুপায় , যে দেশে আইনএর শাসন এর কোন বালাই নাই এটা আবার স্বাধীন দেশ হয় কেমন করে ??
আমি মাত্র দু একটির কথা বললাম এরকম হাজারটা ঘটনা পড়ে আছে আমাদের সামনে ।
মনে রাখতে হবে পৃথিবীর সকল মায়া পেছনে ফেলে বীর শহিদেরা গণ মানুষের সকল স্বাধীনতার জন্যে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছে । ক্ষমতার জন্যে দাপাদাপি করে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টির জন্যে নয় ।
তবুও তো একটা স্বাধীন দেশ পেয়েছি । সব কিছু হারিয়ে এটাই ছিল আমাদের পরম পাওয়া । পাকিস্তানের চরম শোষণের হাত থেকে বাঙ্গালী রক্তের বিনিময়ে মুক্তি পেল ঠিকই কিন্তু স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরে এসে অনেকের মনে প্রস্ন শোনা যায় , আমরা স্বাধীন নই কেন???
এতদিন পরে এই প্রশ্ন শুনে হতবাক না হয়ে পারি না । কেননা আমাদের লাখো শহিদের রক্ত তো আর বৃথা যেতে পারে না ......। আসলে বিষয় টা কি ??
আমার ছোট্ট মাথায় ভাবতে লাগলাম ।।
সত্যিই তো ......।। আমরা ত স্বাধীনতার সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেছি । যেখানে তনু, মুক্তাদের আমরা যথাযথ সম্মান দিতে পারিনি , যে দেশে বদ্রুলরা দিনে দুপুরে অসহায় মানুষ দের কুপায় , যে দেশে আইনএর শাসন এর কোন বালাই নাই এটা আবার স্বাধীন দেশ হয় কেমন করে ??
আমি মাত্র দু একটির কথা বললাম এরকম হাজারটা ঘটনা পড়ে আছে আমাদের সামনে ।
মনে রাখতে হবে পৃথিবীর সকল মায়া পেছনে ফেলে বীর শহিদেরা গণ মানুষের সকল স্বাধীনতার জন্যে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছে । ক্ষমতার জন্যে দাপাদাপি করে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টির জন্যে নয় ।
মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬
ইস্যু:রোহিঙ্গা
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের দেশের প্রধান দলগুলো কোন কথা বলেছে,এই ধরনের খবর অন্তত আমি শুনিনি। ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগ, বহুমতের বিএনপি, আত্বপরিচয়হীনতায় ভুগতে থাকা জাতীয় পার্টি, কিংবা ইসলামিক মতের দাবিদার জামায়াতে ইসলামী এদের কারও সময় নেই রোহিঙ্গাদের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার। জাতিসংঘ এক্ষেত্রে একেবারেই নিশ্চুপ হয়ে আছে। মায়ানমারকে চাপ না দিয়ে উল্টো বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছেন।
আমরা কন সমাজে বাস করছি ?? এরকম প্রশ্নের আমরা বার বার করি / কিন্তু সমাজ পরিবর্তনের জন্য আমরা কোন প্রকার কাজ করিনা ।সমাজটা তোঁ আমাদেরই আমরা চাইলেই এটাকে আমাদের মত করে তৈরি করতে পারি । আসুন কথায় নয় কাজ করে আমদের নিজ নিজ অবস্তান থেকে নিজ সমসজ তথা দেশ টা গড়তে শুরু করি।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)